গৌরনদী প্রতিনিধি // বরিশালের গৌরনদীতে প্রতিনিয়ত ঘুম ভাঙলেই শোনা যাচ্ছে চুরির খবর। একাধিক চুরি হলেও চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার বা চোর গ্রেফতার না হওয়ায় থানায় অভিযোগ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। ২৬ আগস্ট গভীর রাতে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খাজাবাবা কমপ্লেক্সের নিচতলায় অবস্থিত সুন্দরদী মহল্লার ভূঁইয়া ব্রাদার্স গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানের সাটারের তালার কয়ড়া ভেঙে প্রায় ১২০টি গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার নিয়ে গেছে চোর চক্র। যার আনুমানিক মূল্যে প্রায় ৪ লাখ টাকা। ভূঁইয়া ব্রাদার্সের মালিক ভাণ্ডারী মো. লালচান ভূঁইয়া জানান, “টরকী-বাশাইল সড়কের সুন্দরদী মুন্সী বাড়ির সামনে খাজাবাবা কমপ্লেক্সের নিচে আমার দুটি দোকান রয়েছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যাই। মঙ্গলবার সকালে পাশের মুদি দোকানদার রুবেল ফোন করে জানান দোকানের সাটারের তালার কয়ড়া ভাঙা। পরে দোকানে এসে দেখি দুইটি দোকানের একটি সাটারের কয়ড়া ভেঙে প্রায় ১২০টি গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার নিয়ে গেছে। এছাড়ার ওপরটির তলা ও সাটার ভাঙার চেষ্টা করে। এছাড়া দোকান থেকে একটি টেবিল ফ্যান ও একটি তিন চাকার ভ্যানের পাউডার ব্যাটারি চুরি হয়েছে। একই রাতে আমার বাড়ির গভীর নলকূপের টিউবওয়েল চুরি হয়েছে। দুটি দোকান ভালোভাবে দেখে গুনে দেখি ৮০টি টিএমএস গ্যাস ও অন্যান্য ৪০টি সিলিন্ডার মিলিয়ে প্রায় নগদ টাকাসহ ৪ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।” বরিশাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরনদী সার্কেল) শারমিন সুলতানা রাখি চুরি হলেও থানায় অভিযোগ দিতে অনীহা কেন এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, “অনেক সময় চোর ধরার পর মানুষ অভিযোগ করে না। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বদা চেষ্টা থাকে জনগণকে সেবা দেওয়া।” এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চুরির সঙ্গে যারা জড়িত, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।