নিউজ ডেস্ক।।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ১০ জনের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার অভিযুক্তরা বরিশাল আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলো- নাছির হাওলাদার, সাইফুল গাজী, ইমরান মাঝি, ইলিয়াস হাওলাদার, মুন্না হাওলাদার, আরিফ রাড়ী, হোসেন বেপারী, রবিন হাওলাদার
রাশেদ বেপারী, আলী হোসেন বেপারী। তারা বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় উপজেলার চরগোপালপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি জালিরচর গ্রামের রত্তন বেপারির ছেলে নান্নু মিয়ার(৪০) ওপর হামলা চালায় অভিযুক্তরা। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) এর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের হয়ে কাজ করেছেন।
নান্নু মিয়া জানিয়েছিলেন, গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) এর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন শাম্মী আহমেদ। আমি তার পক্ষে ইউনিয়নে জনগণের কাছে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করি। তার মনোনয়ন উচ্চ আদালতে স্থগিত থাকায় তিনি নির্বাচনে শেষ অবধি অংশ নিতে পারেননি। এতে স্থানীয় সাংসদ পংকজ দেবনাথ পুনরায় নির্বাচিত হন। মুলত আমি শাম্মী আহমেদের পক্ষে কাজ করায় পংকজ দেবনাথের অনুসারী চরগোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরের নেতৃত্বে আসামীরা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি ইউনিয়নের বাংলাবাজার থেকে সন্ধায় বাড়ি যাওয়ার পথে আমার ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে জখম করে। এরপর অভিযুক্তরা আমাকে পেটাতে পেটাতে চেয়ারম্যান মনিরের বাড়ির সামনে নিয়ে যায়। এসময় আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছূটে আসলে আমাকে উদ্বার করে। এরপর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এঘটনায় মেহেন্দিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভুগী নান্নু মিয়া।