বাউফল প্রতিনিধি // পটুয়াখালীর বাউফলে বিজয় দিবসে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের উপর হামলা ও লাঞ্ছিত করেন এক জামায়াত নেতা। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাউফল উপজেলা প্রশাসন উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসময়ে উপজেলা পরিষদ গেটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় বস্তা ভর্তি প্লাস্টিকের পাইপ দেখতে পেয়ে সাংবাদিকদের খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে এসে ভিডিও ধারণ করতে গেলে জামায়াত নেতা পলাশের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা কর্মী ছুটে এসে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। এসময়ে বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য দৈনিক আজকের বাংলা’র প্রতিনিধি আবু রায়হানকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে জামায়াত নেতা পলাশ। এঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে বাউফলে কর্মরত সংবাদকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বাউফল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি এম জাফরান হারুন, সাংবাদিক শিবলী সাদেক, সাংবাদিক ওলিউল রিপন, সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা ও সাংবাদিক রুবেল হোসেন প্রমুখ। বাউফলে সাংবাদিকদের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময়ে বক্তারা দ্রুত সময়ের ভেতর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন। আহত সংবাদকর্মী আবু রায়হান জানান, উপজেলা গেইটে পৌঁছে আমরা ভিডিও ধারণ করতে গেলে জামায়াত নেতা পলাশ আমাদের বাঁধা দেন। বাঁধা উপেক্ষা করে ভিডিও করতে গেলে তিনি আমাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং আমার মোবাইল ফোন কেঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক খালিদুর রহমান বলেন, ওই ব্যক্তি (আবু রায়হান) সাংবাদিক হিসেবে কোনো পরিচয়পত্র দেখায়নি বরং পতাকা ঝোলানোর আমাদের ব্যবহৃত হ্যান্ড স্ট্যান্ডকে অস্ত্র দাবি করে ভিডিও ধারণ করতে থাকেন এবং পরে সেগুলা লুটপাট করেন। এ নিয়ে কিছু উত্তেজিত কর্মীর সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। এবিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


