নিজস্ব প্রতিবেদক // নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তিমিরকাঠি গ্রামের এক একর জমিতে বহু বছর ধরে পরিচালিত একটি ব্যক্তিগত বনায়ন প্রকল্পে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে হামলা ও গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে । জানা যায়, প্রকল্পটির মালিক গিয়াস উদ্দিন ও কামাল হোসেন—দু’জনই চাকরিজীবী হওয়ায় তাদের বৃদ্ধ বাবা ও একজন কেয়ারটেকার বাগানটি দেখাশোনা করে আসছিলেন। কামাল হোসেন জানান, “অনেক কষ্ট করে নিজের উপার্জিত টাকা দিয়ে এই বাগানটি গড়ে তুলেছি। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ রয়েছে, যেগুলো থেকে গ্রামের মানুষ সুবিধা পেত । কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুস্তম , সোহাগ ও হাকেম আলী নানা সময়ে গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং দায়িত্বে থাকা লোকজনকে হুমকি প্রদান করে । বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রধারী সোহাগ হাকেম আলী এবং রুস্তম হামলা চালায়। কেয়ারটেকার ও উপস্থিত ব্যক্তিদের জিম্মি করে বাগানের এক পাশের অসংখ্য গাছ কেটে ফেলে । ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দেখা গেছে, কাটা গাছের পরিমাণ বেশ বড় এবং পরিষ্কারভাবে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উল্লিখিত ব্যক্তিরা ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর ঘনিষ্ঠ এবং আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। দীর্ঘদিন ধরে তিমিরকাঠি গ্রামে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব খাটিয়ে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে অতীতেও এমন পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ এবং জুলুম-অত্যাচারের অভিযোগ জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হলেও প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা । এলাকাবাসীর দাবি—এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছে, উল্লেখ্য রুস্তম গং ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হত্যা মামলার আসামি পরিবারটি মুক্ত হয়ে আসার পর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পরিবেশবাদী সংগঠন নেক্সট জেন এর নির্বাহী সমন্বয়কারী সাজিদ মাহামুদ বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিবেশ ও জলবায়ু সুরক্ষায় ব্যাপক উদ্যোগ নিচ্ছে। ঠিক এমন সময় এতগুলো গাছ কেটে ফেলা অত্যন্ত দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এলাকাবাসীর দাবি—এই ধরণের পরিবেশ ধ্বংসকারী কর্মকাণ্ড ও ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধে প্রশাসনকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন দুঃসাহস দেখাতে না পারে।


