গৌরনদী প্রতিনিধি // ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বরিশালের গৌরনদী শিক্ষক পরিবারের সন্তান তারানা তাবাসসুম জোশী। এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময়ের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় জোশীর Merit Position- ২৮২৯, Test score পেয়েছেন- ৭৭ দশমিক ৫। তার Merit score-১৭৭ দশমিক ৫। তার ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল ঢাকা রেসিডিয়ানশিয়াল মডেল কলেজ।তেজগাঁও ঢাকা। তারানা তাবাসসুম জোশী,শিক্ষক পরিবারের সন্তান।শিক্ষক মা- বাবাসহ পরিবারের সবার মুখ উজ্জ্বল করেছেন তিনি।ছোটবেলা থেকে জোশী মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। নিজের চেষ্টা, পরিবারের সদস্যদসহ শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় অদম্য মেধাবী এ শিক্ষার্থী নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। কোনো বাধাই দমিয়ে রাখতে পারেনি তারানা তাবাসসুম জোশীকে শিক্ষাজীবনের পথ চলাকে। অদম্য সেই জোশী এবার যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তারানা তাবাসসুম জোশী বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামের শিক্ষক পরিবারের সন্তান। পিতা মো. এবায়েদুল হক শাহীন পেশায় শিক্ষক আগরপুর ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপাল, মাতা জিনাত জাহান খান মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক। ২- বোনের মধ্যে তারানা তাবাসসুম জোশী ছোট। ছোটবেলা থেকেই তিনি অদম্য মেধাবী ছিলেন। আর জোশীর বড় বোন জিশা, বর্তমানে বুয়েটে অধ্যায়নরত আছে। জোশী গৌরনদী গার্লস স্কুল & কলেজ থেকেই এস এস সি ও এইচএসসি পাশ করেছে। এসএসসিতে সকল বিষয়ে এ প্লাস পেয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছিল এবং বরিশাল বোর্ডের বৃত্তিও পায়। এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এ ছাড়া তারানা তাবাসসুম জোশী শিক্ষাজীবনে বৃত্তিসহ বিভিন্ন মেধা নির্বাচনি পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করেন। এদিকে গৌরনদী উপজেলা থেকে যশোর মেডিকেলে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী তারানা তাবাসসুম জোশী পরিবারকে, গৌরনদী উপজেলা এবং তার নিজ গ্রামসহ উপজেলার বাবুগঞ্জ থানায় বইছে আনন্দের বন্যা। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপজেলার একমাত্র শিক্ষার্থী হিসেবে তারানা তাবাসসুম জোশী চান্স পাওয়ায় পুরো উপজেলার মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাকে। তারানা তাবাসসুম জোশী বলেন, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চান্স পাওয়ায় প্রথমেই মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। আর সেই লক্ষ্যে আমি লেখাপড়া চালিয়ে গিয়েছি। সরকারি মেডিকেলে চান্স পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যাতে একজন আদর্শবান ডাক্তার হয়ে নিজ গ্রামসহ আমাদের উপজেলার দরিদ্র-অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি। তারানা তাবাসসুম জোশী আরও বলেন, আমি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন সন্তান। আমার এই ভালো ফলাফলের পেছনে মা-বাবা ও শিক্ষকদের অবদান অপরিসীম। মেয়ের এই সাফল্যে আনন্দে জোশীর মা-বাবা বলেন, মেয়ের সাফল্যে খুব আনন্দ হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের পুরস্কৃত করেছেন। আমাদের মেয়ে যাতে ভালো ডাক্তার হয়ে গরিব ও অসহায় মানুষের সেবা করতে পারে, সে জন্য সবার দোয়া কামনা করছি। গৌরনদী গার্লস স্কুল & কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নির্মল হালদার বলেন, তারানা তাবাসসুম জোশী খুবই মেধাবী ছাত্রী। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। আমাদের স্কুলের ছাত্রী এটা সত্যিই গর্বের। ছাত্র-ছাত্রীরা কর্ম জীবনে ভালো করলে যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম হয় তেমনি শিক্ষকদেরও সুনাম হয়। তারানা তাবাসসুম জোশী উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। আশা করছি আমাদের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আরও তারানা তাবাসসুম জোশী তৈরি হোক।


